চুইঝাল খুলনার একটি বিখ্যাত মসলা যা প্রধানত গরুর মাংস খাশির মাংশ সহ সব ধরনের মাংসের পাশাপাশি খিচুরি ও অন্যান্য রান্নায় ব্যবহার করা হয়।যার ফলে রান্নায় যোগ হয় নতুন এক সাদের মাত্রা, চুইঝাল দেশী ও পাহাড়ি হয়ে থাকে, পাহাড়ি চুই শক্ত, স্বাদহীন, কম দাম কিন্তু দেশী চুইঝাল খেতে অনেক সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী
এঁটো চুই: গাছের মোথা বা মূলের অংশটিকে এঁটো চুই বলে। এটি সব থেকে ভালো এবং সুস্বাদু, মুখে দিলে একদম গলে যায়। এর দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় শহরাঞ্চলে খুব বেশি পাওয়া যায় না।
গাছ চুই: মোটা ডাল বা কাণ্ড গুলোকে গাছ চুই বলে। এটাও বেশ সুস্বাদু। সহজে গলে যায় বিধায় এই চুইয়েরও রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা।
এঁটো চুইঝালে ফাইবার কম থাকায় এটি রান্নায় গলে গিয়ে গ্রেভি ফ্লেভার নিয়ে আসে।
গাছ চুইঝাল সাধারণত রান্নার সময় গলে যায় না, তাই আস্ত অবস্থায় থাকে।
যেকোনো ধরনের মাংস, ঝোলের তরকারি, মাছের ঝোল, মাছ ভুনা সহ যেকোনো ধরনের ভুনা তরকারিতে এঁটো চুইঝাল ব্যবহার করা হয়।
সাধারণত একসাথে অধিক পরিমাণে মাংস রান্না, খিচুড়ি, চটপটি, হালিম, ছোলা ভুনা এবং সুস্বাদু আচার তৈরিতে গাছ চুই ঝাল ব্যবহার করা হয়
ডাল চুই: গাছের সরু ডাল বা কাণ্ডকে ডাল চুই বলে।
ডাল চুই: এগুলোতে আঁশ-এর পরিমাণ বেশি থাকে। স্বাদের ভিন্নতার কারণে অনেকেই এই ধরণের চুই পছন্দ করেন।
আমাদের রয়েছে পন্য হাতে পেয়ে তারপর টাকা পরিশোধ করার সুব্যবস্থা
আমাদের কাছেই পাচ্ছেন সেরা স্বাদ যুক্ত খুলনার অথেন্টিক দেশীয় চুইঝাল
রেগুলার বা অপরিপক্ক নয়, আমরাই দিচ্ছি বাছাইকৃত প্রিমিয়াম কোয়ালিটির চুইঝাল
যেকোন ত্রুটিপূর্ণ পণ্যের ক্ষেত্রে থাকছে পণ্য অথবা টাকা রিফান্ডের সুবিধা
অর্ডার করতে অগ্রিম টাকা লাগবে না। প্রডাক্ট নেওয়ার সময় ডেলিভারি বয় কে টাকা দিলে হবে।
আগামী ৩ দিনের ভিতর ইনশাআল্লাহ পেয়ে যাবেন
অর্ডার করতে চাইলে একদম স্ক্রল করে নিচে চলে যান। তারপর অর্ডার ফরম টি তে আপনার নাম,মোবাইল নাম্বার এবং ঠিকানা দিয়ে নীচে Place Order এ ক্লিক করুন।
চুইঝাল পানের লতার মত এক ধরনের গাছ, এর শিকড় ও কান্ড খাবারে ব্যবহার হয়ে থাকে। চুইঝাল মসলা ও ঝাল হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এটি খেতে অনেকটা আদা ও গোলমরিচের মত ঝাঝালো, রান্নার পর টুকরোগুলো চুষে বা চিবিয়ে খাওয়ার সাথে সাথে এর দারুন স্বাদ উপভোগ করা যায়। খুলনা অঞ্চলের দিকে মাংস রান্নায় এই চুইঝাল ব্যবহার ব্যাপক প্রচলিত।
সাধারনত ১ কেজি মাংসে ৫০-৬০ গ্রাম চুইঝালই যথেষ্ট। তাই ৫০০ গ্রাম চুইঝাল দিয়ে খুব ভালোভাবেই ৮-১০ কেজি মাংস রান্না করা যায়।0
চুইঝাল কাটার আগে অবশ্যই ১০ থেকে ১৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন। এরপর প্রথমত আশ বরাবর লম্বালম্বি কেটে নিবেন। তারপর প্রয়োজনমত ছোট বড় টুকরো করে নিন।
ঝোল জাতীয় যেকোন খাবারে চুইঝাল ব্যবহার করতে পারবেন। চুইঝালের ফ্লেভারটা ভালোমতো ঝোলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার জন্য দুই তিন টুকরো চুই ঝাল থেতো করে দিবেন আর বাকি অংশটুকু আস্তই থাকবে। এতে করে যেমন ঝোল এর মধ্যে চুইঝালের ফ্লেভার পাবেন, আবার আলাদা করে চুইঝাল চিবিয়ে খাওয়ার মজাটাও উপভোগ করতে পারবেন।
চুইঝাল গাছের কাণ্ডকে গাছ চুইঝাল বলে। গাছ চুইঝালের ঝাঁঝ সাধারণত একটু বেশি হয়ে থাকে। গাছ চুইঝাল রান্নায় গলে না গিয়ে আস্ত থাকে। এজন্য যখন চিবিয়ে খাওয়া যায় তখনই স্বাদটা উপভোগ করা যায়।
চুই ঝাল গাছের গোড়া এবং গোড়া সংলগ্ন মোটা অথবা মাঝারি মোটা অংশকে এটো চুই ঝাল বলে। এটো চুইঝালে ঝাল এ ঝাল তুলনামূলক কম হলেও রান্নায় গলে গিয়ে গ্রেভি ফ্লেভার নিয়ে আসে। তরকারিতে দিলে নরম হয়ে যায়, তবে ঝোলের সাথে দারুন ফ্লেভার ছড়ায়। তুলনামূলক কম-ঝালযুক্ত এবং রান্নায় গলে যাওয়ার জন্য এই চুইঝালও কিন্ত বেশ সুস্বাদু এবং সবার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে।
পাহাড়ী চুইঝাল দেশের পাহাড়ী অঞ্চল অর্থাৎ চট্টগ্রাম, রাঙামাটি পার্বত্য অঞ্চলে জন্মে থাকে। এর রঙ খয়েরী অথবা লালচে সাদা, রান্না হতে বেশ সময় লাগে, খেতে মোটেও সুস্বাদু নয় এবং কাঠের মত শক্ত হয়ে থাকে। পাহাড়ী চুই এর বাহ্যিক অংশে কোনো শিকড় থাকে না অন্যদিকে দেশী চুইঝালের কান্ড ছোট ছোট শিকড়ে পরিপূর্ণ হয়ে থাকে এবং রান্নায় ও বেশ ঝাঁঝালো ঝাল এক ধরনের ফ্লেবার যোগ করে থাকে।
চুইঝাল গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে,খাবারের রুচি বাড়াতে এবং ক্ষুধামন্দা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এছাড়া পাকস্থলী ও অন্ত্রের প্রদাহ কমায়, স্নায়ুবিক উত্তেজনা ও মানসিক অস্থিরতা প্রশমন করে, শারীরিক দুর্বলতা ও শরীরের ব্যথা কমায়। সদ্য প্রসূতি মায়েদের শরীরের ব্যথা দ্রুত কমাতে ম্যাজিকের মতো সাহায্য করে। কাশি, কফ, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও রক্তস্বল্পতা দূর করে। এছাড়াও চুই ঝাল ঘুমের ওষুধ হিসেবেও বেশ ভালো কাজ করে।
Product | Subtotal |
---|---|
গাছ চুইঝাল ৫০০ গ্রাম × 1 | 450.00৳ |
Subtotal | 450.00৳ |
Shipping
|
|
Total | 530.00৳ |
যেকোন জিজ্ঞাসা ও অর্ডারজনিত সমস্যায় কল করুন আমাদের হেল্পলাইনে অথবা নক করুন আমাদের হোয়াটসঅ ্যাপ বা ফেসবুক পেজে। আমরা আছি সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত আপনার সেবায়।